1. news@sangbadeisomoy.com : সংবাদ এই সময় : সংবাদ এই সময়
  2. info@www.sangbadeisomoy.com : সংবাদ এই সময় :
বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ ও প্রতিকার বিচার বিভাগ নিয়ে আসিফ নজরুলের কণ্ঠে ফ্যাসিস্টের সুর: কায়সার কামাল গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহিতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়: মাসুদ সাঈদী সামাজিক সম্পর্ক সুস্থতা বাড়ায়, অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি কমায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বিএনপি হতাশ : সালাহউদ্দিন আহমদ ঘুরে আসতে পারেন সবুজ পাহাড়ের কোলে নীল পানিরাশির কাপ্তাই লেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যানের দেশে ফিরতে চান শেখ হাসিনা, তবে দিয়েছেন শর্ত আজও ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে এক পরিবর্তন

বিপদ হোক দ্বীনের পথে ফিরে আসার কারন

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

মো: নুরুল আলম

আমর নাকিদ (রহঃ) … যায়নাব বিনত জাহাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ (একদিন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জাগ্রত হলেন। এ সময়ে তিনি বললেনঃ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ নিকট ভবিষ্যতে সংঘটিত দুর্যোগে আরবরা ধ্বংস হয়ে যাবে। আজ ইয়াজুজ-মাজুজের প্রাচীর এতটুকু পরিমাণ খুলে দেয়া হয়েছে। এ সময় সুফিয়ান (রহঃ) এর হাত দ্বারা দশের চক্র বানালেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে পুণ্যবান লোক থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধবংস হয়ে যাব? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ, যখন পাপাচার বেশী হবে। (সহীহ মুসলিম -৬৯৭১)

যখন সমাজে, দেশে পাপ বৃদ্ধি পায় তখন মুমিন থাকা স্বত্বেও বিপদ-আপদ, বিপর্যয় হতে পারে। যা মুমিনের জন্য আল্লাহর কাছে প্রিয় হবার পরীক্ষা, কাফের, ফাসেকের জন্য আল্লাহর কাছে ফিরে আসার সুযোগ নাহয় আযাব।

আল্লাহ বলেন-
অতঃপর তারা যখন নৌযানে আরোহণ করে, তখন তারা আনুগত্যে বিশুদ্ধ হয়ে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে। তারপর তিনি যখন স্থলে ভিড়িয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন, তখন তারা শির্কে লিপ্ত হয়। (সুরা আনকাবুত-৬৫)

অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে –
মানুষকে দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে একাগ্রচিত্তে তার পালনকর্তাকে ডাকে, অতঃপর তিনি যখন তাকে নেয়ামত দান করেন, তখন সে কষ্টের কথা বিস্মৃত হয়ে যায়, যার জন্যে পূর্বে ডেকেছিল এবং আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করে; যাতে করে অপরকে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করে। বলুন, তুমি তোমার কুফর সহকারে কিছুকাল জীবনোপভোগ করে নাও। নিশ্চয় তুমি জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত। ( সুরা যুমার-৮)।

যখনি কোন বড় বিপদ আসে কাফেররাও একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ ডাকে, বিপদ শেষে আবার শিরকে লিপ্ত হয় অধিকাংশই। এমনকি ফেরাউনের মত তাগুতরা বিপদে একনিষ্ঠ আল্লাহর সাহায্য চাইতো। মুসাকে (আ) আহ্বান জানাতো দোয়া করার জন্য, ঈমান আনার মিথ্যা ওয়াদা করতো।

আল্লাহ বলেন-
“আর তাদের উপর যখন কোন আযাব পড়ে তখন বলে, হে মূসা আমাদের জন্য তোমার পরওয়ারদেগারের নিকট সে বিষয়ে দোয়া কর যা তিনি তোমার সাথে ওয়াদা করে রেখেছেন। যদি তুমি আমাদের উপর থেকে এ আযাব সরিয়ে দাও, তবে অবশ্যই আমরা ঈমান আনব তোমার উপর এবং তোমার সাথে বনী-ইসরাঈলদের যেতে দেব।” (আল আরাফ: ১৩৪)

যখন করোনায় বিশ্ব ফেরাউনরা ভয়ে কাপছিল তখন বহুদেশে প্রকাশ্যে আযান, সালাত পড়তে দিল আর বহুদেশের সংসদ হতে মুসলিমদের দোয়া করতে বলল। যখন কোভিড কমে এল মুসলিম নির্যাতন বেড়ে গেল যেমনটা ফেরাউনদের অনুসারীরা করতো। আজ কাফের, মুশরিক, মুনাফেকরা একনিষ্ঠ আল্লাহর সাহায্য চাইছে।
আজ অনেক ইসলামবিদ্বেষীও মসজিদ, মাদ্রাসায় দোয়ার আয়োজন করবে, দান করবে।

আমরা সারাজীবন সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, সর্বশক্তিমান, বিপদে রক্ষাকারী হিসেবে আল্লাহকে মানলেও বিধানদাতা হিসেবে আল্লাহকে কতটা মানছি? আমল দ্বারা স্বীকার করে নিচ্ছি? অথচ কেউ যদি সব গুণবাচক নাম ও সত্তা মানে শুধু রিজিকদাতা অথবা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে অন্যকে মানে বা অন্যের কাছে রিজিক চায় তাহলে শিরক হবে। তাহলে আল্লাহর বিধানের বিপরীতে বান্দার কাছে বিধান চাইলে কি শিরক হবে না!? রিযিকদাতা, সৃষ্টিকর্তা আর বিধানদাতা এক আল্লাহই। আরবের কাফেররা রিযিকদাতা আল্লাহকে মানতো কিন্তু অন্য ক্ষেত্রে শিরক করতো তাই তারা মুশরিক ছিল।
আমর নাকিদ (রহঃ) … যায়নাব বিনত জাহাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ (একদিন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জাগ্রত হলেন। এ সময়ে তিনি বললেনঃ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ নিকট ভবিষ্যতে সংঘটিত দুর্যোগে আরবরা ধ্বংস হয়ে যাবে। আজ ইয়াজুজ-মাজুজের প্রাচীর এতটুকু পরিমাণ খুলে দেয়া হয়েছে। এ সময় সুফিয়ান (রহঃ) এর হাত দ্বারা দশের চক্র বানালেন। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের মধ্যে পুণ্যবান লোক থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধবংস হয়ে যাব? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ, যখন পাপাচার বেশী হবে। (সহীহ মুসলিম -৬৯৭১)

যখন সমাজে, দেশে পাপ বৃদ্ধি পায় তখন মুমিন থাকা স্বত্বেও বিপদ-আপদ, বিপর্যয় হতে পারে। যা মুমিনের জন্য আল্লাহর কাছে প্রিয় হবার পরীক্ষা, কাফের, ফাসেকের জন্য আল্লাহর কাছে ফিরে আসার সুযোগ নাহয় আযাব।

আল্লাহ বলেন-
অতঃপর তারা যখন নৌযানে আরোহণ করে, তখন তারা আনুগত্যে বিশুদ্ধ হয়ে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে। তারপর তিনি যখন স্থলে ভিড়িয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন, তখন তারা শির্কে লিপ্ত হয়। (সুরা আনকাবুত-৬৫)

অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে –
মানুষকে দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে একাগ্রচিত্তে তার পালনকর্তাকে ডাকে, অতঃপর তিনি যখন তাকে নেয়ামত দান করেন, তখন সে কষ্টের কথা বিস্মৃত হয়ে যায়, যার জন্যে পূর্বে ডেকেছিল এবং আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করে; যাতে করে অপরকে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করে। বলুন, তুমি তোমার কুফর সহকারে কিছুকাল জীবনোপভোগ করে নাও। নিশ্চয় তুমি জাহান্নামীদের অন্তর্ভূক্ত। ( সুরা যুমার-৮)।

যখনি কোন বড় বিপদ আসে কাফেররাও একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ ডাকে, বিপদ শেষে আবার শিরকে লিপ্ত হয় অধিকাংশই। এমনকি ফেরাউনের মত তাগুতরা বিপদে একনিষ্ঠ আল্লাহর সাহায্য চাইতো। মুসাকে (আ) আহ্বান জানাতো দোয়া করার জন্য, ঈমান আনার মিথ্যা ওয়াদা করতো।

আল্লাহ বলেন-
“আর তাদের উপর যখন কোন আযাব পড়ে তখন বলে, হে মূসা আমাদের জন্য তোমার পরওয়ারদেগারের নিকট সে বিষয়ে দোয়া কর যা তিনি তোমার সাথে ওয়াদা করে রেখেছেন। যদি তুমি আমাদের উপর থেকে এ আযাব সরিয়ে দাও, তবে অবশ্যই আমরা ঈমান আনব তোমার উপর এবং তোমার সাথে বনী-ইসরাঈলদের যেতে দেব।” (আল আরাফ: ১৩৪)

যখন করোনায় বিশ্ব ফেরাউনরা ভয়ে কাপছিল তখন বহুদেশে প্রকাশ্যে আযান, সালাত পড়তে দিল আর বহুদেশের সংসদ হতে মুসলিমদের দোয়া করতে বলল। যখন কোভিড কমে এল মুসলিম নির্যাতন বেড়ে গেল যেমনটা ফেরাউনদের অনুসারীরা করতো। আজ কাফের, মুশরিক, মুনাফেকরা একনিষ্ঠ আল্লাহর সাহায্য চাইছে।
আজ অনেক ইসলামবিদ্বেষীও মসজিদ, মাদ্রাসায় দোয়ার আয়োজন করবে, দান করবে।

আমরা সারাজীবন সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, সর্বশক্তিমান, বিপদে রক্ষাকারী হিসেবে আল্লাহকে মানলেও বিধানদাতা হিসেবে আল্লাহকে কতটা মানছি? আমল দ্বারা স্বীকার করে নিচ্ছি? অথচ কেউ যদি সব গুণবাচক নাম ও সত্তা মানে শুধু রিজিকদাতা অথবা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে অন্যকে মানে বা অন্যের কাছে রিজিক চায় তাহলে শিরক হবে। তাহলে আল্লাহর বিধানের বিপরীতে বান্দার কাছে বিধান চাইলে কি শিরক হবে না!? রিযিকদাতা, সৃষ্টিকর্তা আর বিধানদাতা এক আল্লাহই। আরবের কাফেররা রিযিকদাতা আল্লাহকে মানতো কিন্তু অন্য ক্ষেত্রে শিরক করতো তাই তারা মুশরিক ছিল।

আল্লাহ বলেন,
বলুন, তোমাদের নিকট যদি আল্লাহ, তার রাসূল এবং তাঁর (আল্লাহর) পথে জিহাদ করার চেয়ে বেশী প্রিয় হয় তোমাদের পিতৃবর্গ, তোমাদের সন্তানরা, তোমাদের ভ্রাতাগণ, তোমাদের স্ত্রীগণ, তোমাদের আপনগোষ্ঠী, তোমাদের অর্জিত সম্পদ, তোমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য যার মন্দা পড়ার আশংকা কর এবং তোমাদের বাসস্থান যা তোমরা ভালবাস, তবে অপেক্ষা কর আল্লাহ্‌ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হেদায়াত দেন না। (সুরা তওবা-২৪)

এই ৮ টা জিনিস যা আল্লাহ, রসুল (সা:) ও জেহাদ হতে প্রিয় হয় বা যা হারানোর ভয়ে বা ওদের মায়ায় দ্বীন হতে দূরে সরে যায়। আল্লাহ কখনো কখনো তা কেড়ে নেন। তখন মুমিনের নিকট দুনিয়ার বেচে থাকা তুচ্ছ মনে হয়, একমাত্র আখেরাতের জীবন অগ্রগন্য হয়। ফলে তারা লড়াই করে শহীদ অথবা বিজয়ী হয়।

আফগান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, মাগরিব অঞ্চল সেই উদাহরণ স্থাপনের পথে ইনশাআল্লাহ। একটু ভাবুন- আমরা মাত্র কয়টা লাশ দেখছি, মাত্র কয়টা দিন উপবাস থেকেছি, কয়টা দিন মাত্র গৃহহারা। অথচ শাম, ফিলিস্তিনসহ বহুদেশে বহুবছর মুসলিম মরছে, গৃহহারা, খাদ্যহীন কষ্ট করছে! তাদের কষ্টটা উপলব্ধি করে তাদের জন্য সাহায্য ও দোয়া কতটুকু করেছিলাম আমরা।

তওবা করুন, নিয়ত করুন বিপদ শেষে বিভিন্ন চেতনার নামে শির্ক, কুফরে না জড়িয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা যেন হয় আমাদের লক্ষ্য। ইনশাআল্লাহ এই বিপদ চলে যাবে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট