অনলাইন ডেস্ক
ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে মধ্য ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। নদীগুলো ফুলে উঠেছে এবং ঐতিহাসিক শহর হিউ এবং হোই আনসহ বাড়িঘর, কৃষিজমি এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলো ডুবে গেছে।
হুয়ে শহরে ২৪ ঘণ্টায় ১,০৮৫ মিলিমিটার (৪২ ইঞ্চি) বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। হুয়ের পারফিউম নদী ৪ দশমিক ৬২ মিটার (১৫ ফুট) উঁচু হয়ে গেছে, ফলে শহরের রাস্তা ও বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।
ইউনেস্কো তালিকাভুক্ত প্রাচীন শহর হোই আনও বন্যার কবলে পড়েছে। পর্যটকদের নৌকায় সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার পর্যটক অন্য হোটেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
থুয়া থিয়েন হুয়ে প্রান্তিক এলাকায় বন্যা ও ভূমিধসে ২০০ শিশুসহ প্রায় ১ হাজার মানুষ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। হানয় থেকে হো চি মিন সিটি পর্যন্ত প্রধান রেলপথ বন্ধ রয়েছে। ফলে হাজার হাজার যাত্রী সমস্যায় পড়েছেন। বন্যার তীব্রতা কমানোর জন্য ৯৮০ টন ওজনের ১৯টি ট্রেনের ডিবি একটি সেতুর ওপর রাখা হয়েছে যাতে এটি প্লাবিত না হয়।
বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে সামুদ্রিক ঝড় ও বৃষ্টিপাত আরও প্রবল হচ্ছে। ভিয়েতনাম বিশ্বের সবচেয়ে বন্যাপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে প্রায় অর্ধেক মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করছেন।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, হিউতে বন্যার ফলে ঘরবাড়ি ডুবে গেছে এবং প্রধান রাস্তাগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, বাসিন্দারা চলাচলের জন্য নৌকা ব্যবহার করেছেন।
সপ্তাহান্ত থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেখানকার স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান সাবেক রাজকীয় শহর হিউ প্লাবিত হয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, তীব্র বন্যা এবং ভূমিধসের ঝুঁকির কারণে শনিবার থেকে চারটি মধ্য প্রদেশের ৮ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষকে স্কুল ও অন্যান্য সরকারি ভবনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝড় ও বন্যার মতো চরম আবহাওয়া আরও মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠছে।
সূত্র: এপি