1. news@sangbadeisomoy.com : সংবাদ এই সময় : সংবাদ এই সময়
  2. info@www.sangbadeisomoy.com : সংবাদ এইসময় :
সুদানের এল-ফাশের থেকে পালিয়েছে ৬০ হাজারের বেশি বাসিন্দা : জাতিসংঘ - সংবাদ এইসময়
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৪ অপরাহ্ন

সুদানের এল-ফাশের থেকে পালিয়েছে ৬০ হাজারের বেশি বাসিন্দা : জাতিসংঘ

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক

ছবি : রয়টার্স

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এল-ফাশের দখলে নিয়েছে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, শহরটি দখলের পর গত সপ্তাহান্তে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে গেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভয়াবহ অনাহার, গোলাবর্ষণ ও গণহত্যার মধ্য দিয়ে আরএসএফ বাহিনী ১৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ থাকা এই শহরটি দখল করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিরস্ত্র মানুষ হত্যা ও নারী নির্যাতনের মতো নৃশংস ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।

ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ইউজিন বায়ুন বিবিসিকে জানিয়েছেন, সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা মানুষরা টাওইলা শহরের দিকে আশ্রয় নিচ্ছেন, যা এল-ফাশের থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।

তিনি বলেন, ‘তারা ভয়াবহ নির্যাতনের গল্প শোনাচ্ছে। আশ্রয় ও খাদ্যের ঘাটতিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। প্রত্যেক শিশুই অপুষ্টিতে ভুগছে।


জাতিসংঘের অনুমান অনুযায়ী, এখনো প্রায় দেড় লাখ মানুষ এল-ফাশের শহরে আটকা পড়ে আছে। শহরটিতে ছিল সুদানের সেনাবাহিনীর পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের শেষ ঘাঁটি।

আরএসএফ পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের জাতিগত উদ্দেশ্য অস্বীকার করা হয়েছে। তবে বিবিসির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আরএসএফ যোদ্ধা আবু লুলু নামের এক মিলিশিয়া সদস্য অস্ত্রহীন লোকদের নির্বিচারে হত্যার ঘটনায় জড়িত।

এরপর আরএসএফ নিজেরাই ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে বলে দাবি করেছে এবং তার গ্রেপ্তারের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।

বিবিসি ভেরিফাই ওই ভিডিও যাচাই করে বলেছে, আবু লুলু এল-ফাশেরের কাছে একাধিক লোককে হত্যা করেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক নিশ্চিত করেছে যে, লুলুর সঙ্গে যুক্ত একটি অ্যাকাউন্ট তারা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করেছে।

২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সুদানের এই গৃহযুদ্ধ দেশটিকে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

জাতিসংঘ একে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট বলে বর্ণনা করেছে।

এল-ফাশেরের পতনের পর দেশটিতে নতুনভাবে ভৌগোলিক বিভাজন স্পষ্ট হয়েছে। পশ্চিম সুদান ও দক্ষিণের কোরদোফান প্রদেশের বেশিরভাগ এখন আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে, অন্যদিকে সেনাবাহিনী রাজধানী খার্তুম, মধ্য ও পূর্বাঞ্চলসহ রেড সি উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ধরে রেখেছে।

যদিও দুই পক্ষ ছিল একসময়ের মিত্র। ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর তারা একসঙ্গে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু জনগণের সরকারের পথে ফেরার আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা নিয়েই তাদের মধ্যে এই রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সূচনা হয়।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট